Share this post:
ধরুন আপনার কোন প্রিয়জন ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছে। কোন কারনে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কিন্তু কতদুর আসছে তা জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক ডেভেলপড ট্রেন ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি কাঙ্খিত ট্রেনের বর্তমান অবস্থান বা পরবর্তী স্টেশনের নাম জানতে পারবেন। এটার জন্য যেটি করতে হবে সেটি হলো আপনার হাতের মোবাইল থেকে নির্দিষ্ট নাম্বার এবং ফরমেটে একটি এসএমএস প্রেরণ করা। বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ট্রেন ট্র্যাকিং এবং মনিটরিং সিস্টেম কী এবং কেন?
বাংলাদেশ রেলওয়ের ০৪ টি বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিস রয়েছে। সেগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট। ০২ টি আঞ্চলিক কন্ট্রোল অফিস রয়েছে সেগুলো হলো চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। আর একটি ঢাকা কেন্দ্রিয় কন্ট্রোল অফিস আছে। এ সমস্ত কন্ট্রোল অফিস হতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২৮৭৭ কি.মি ব্যাপী নেটওয়ার্ক- এ চলাচলরত ট্রেন স্টেশন মাস্টারগণের সাথে যোগাযোগপূর্বক ট্রেনের গতিবিধি মনিটর এবং নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এ সমস্ত যোগাযোগ এবং নিয়ন্ত্রণ টেলিফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে করা হতো। কোন ট্রেন কোন স্টেশনে কতক্ষণ থামবে, কোন ট্রেনের ক্রসিং হবে, কোন ট্রেনের অগ্রাধিকার থাকবে ইত্যাদি বিষয়াদি টেলিফোনে যোগাযোগকরে নিয়ন্ত্রণ করা হতো যা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। কোন ট্রেন কোথায় আছে তা নির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব হতো না বা সময়সাপেক্ষ। ফলে দূর্ঘটনার আশংকা থাকতো। তাছাড়াও যাত্রীদের পক্ষেও কোন ট্রেন কোথায় আছে তা জানা সম্ভব হতো না।
এ সমস্ত অসুবিধা দূরীকরণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ সালে জিপিএস ভিত্তিক ট্রেন ট্র্যাকিং এবং মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হয়। (সূত্র- বাংলাদেশ রেলওয়ে)
কিভাবে জানবো ট্রেনের বর্তমান লোকেশন?
মোবাইল থেকে একটি এসএমএস প্রেরণের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই ট্রেনের বর্তমান লোকেশন জানতে পারবো।
আপনার মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে TR লিখে একটি স্পেস দিয়ে ট্রেনের নাম্বার বা নাম লিখুন আর পাঠিয়ে দিন ১৬৩১৮ নাম্বারে।
ফিরতি এসএম এস-এর মাধ্যমে আপনি জেনে যাবেন ট্রেনের বর্তমান লোকেশন , পরের স্টেশনের নাম বা ট্রেনের কোন লেট হচ্ছে কী না!
SMS FORMAT-
TR<SPACE> TRAIN NUMBER OR TRAIN NAME
SEND TO 16318
এই সেবাটি গ্রহণ করতে ৪ টাকা+ ভ্যাট খরচ হবে।
ট্রেনের নাম্বার এবং নাম

এই পোস্টটি ভালো লাগলে এবং উপকারি মনে হলে প্লিজ লাইক এন্ড শেয়ার। ধন্যবাদ।