Share this post:
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড, পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি যেটি বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবাসিক, বাণিজ্যিক , শিল্প এবং সিএনজি শ্রেণীর গ্রাহকদের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করছে। কেজিডিসিএল এর ৬ লক্ষ আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে অন্য আর একটি প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আপনি যদি উক্ত কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে প্রি-পেইড মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন।কেজিডিসিএল এর আবাসিক গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া দেখানো হলো।
কেন প্রি-পেইড মিটার নিবেন?
বর্তমানে ফ্ল্যাটরেট ভিত্তিতে একটি দ্বিমুখী চুলার মাসিক বিল হচ্ছে ১০৮০ টাকা। আপনি যদি প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করেন তাহলে ৬০০-৭০০ টাকার রিচার্জেই একমাস চলে যায়। তাই প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ৩০০-৪০০ টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। প্রি-পেইড মিটারে খরচ কম হওয়ায় এর চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রি-পেইড মিটার গ্রহণের আর একটি কারন হচ্ছে জ্বালানি সাশ্রয়। প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করলে মূল্যবান প্রাকৃিতিক গ্যাসের যথেচ্ছ ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে । প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবে না।
কেজিডিসিএল এর প্রি-পেইড মিটারের আবেদনের শর্তাবলী
কেজিডিসিএল এর আবেদনের পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়াদি খেয়াল করুন-
- অনলাইন বিলিং এর জন্য নিবন্ধন করেছেন কী না। অনলাইন বিলিং এর জন্য নিবন্ধিত গ্রাহকগণই কেবল প্রি-পেইড মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবে।
- গ্যাস বিল হালনাগাদ পরিশোধ করার প্রয়োজন হবে।
- প্রতিটি রান্নাঘরের জন্য আলাদা জিআই লাইন করতে হবে।
- জি আই লাইনে কোন লিকেজ থাকতে পারবে না।
প্রি-পেইড মিটারের আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি যদি কেজিডিসিএল এর আবাসিক গ্রাহক হোন এবং নিয়মিত বিল পরিশোধ করে থাকেন তাহলে প্রি-পেইড মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রি-পেইড মিটার ইনস্টলের জন্য বর্তমানে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে করে আবেদনের সিরিয়ালে কোন হেরফের করা না যায়। যেহেতু নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে সেহেতুে আবেদনের সিরিয়াল অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়াদি প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
- প্রি-পেইড মিটারের আবেদন দাখিল করতে এখানে ক্লিক করুন।
- লগইন বা নিবন্ধন করুন। প্রি-পেইড মিটারের আবেদন করার জন্য প্রথমেই আপনাকে উক্ত সাইটে নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে। একবার নিবন্ধন হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র নিবন্ধনের সময় পদত্ত মোবাইল/ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল(ঐচ্ছিক) এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। উল্লেখ্য, নিবন্ধন এবং লগইন করার সময় প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড যাবে যে টি এখানে ইনপুট দেয়ার প্রয়োজন হবে।
- হোম পেজের আবেদন ফরম অপশনে ক্লিক করুন।
- আবেদনকারীর গ্রাহক সংকেত এবং মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। গ্রাহক সংকেত এবং মোবাইল নাম্বার ঠিক থাকলে সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় মিটারের সংখ্যা লিখে চেক করতে হবে। যদি গ্রাহকের গ্যাস বিল বকেয়া থাকে তাহলে সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে না। আর যদি বকেয়া না থাকে তাহলে আবেদনটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, বকেয়া বিল পরিশোধের পর উক্ত ওয়েবসাইটে আপডেট হতে দু-তিন দিন সময় লাগতে পারে। আপনার বকেয়া সংক্রান্ত তথ্যাদি এখান থেকে জানতে পারবেন। বকেয়া পরিশোধ থাকলে গ্রাহকের নাম, গ্রাহকের এনআইডি/পাসপোর্ট নাম্বার, গ্রাহকের থানা এবং ঠিকানা আবশ্যিকভাবে পূরণ করতে হবে। তাছাড়াও ঠিকাদার নিয়োগ করা থাকলে সেটি সিলেক্ট করে দেয়া যায়। সর্বশেষ বিল পরিশোধের কপি, এনআইডি, নকশা, সরঞ্জাম সংক্রান্ত তথ্যাদি স্ক্যান করে পিডিএফ আকারে আপলোড করা যায়।
উপরোক্ত তথ্যাদি দিয়ে ফরম সাবমিট করলে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন গৃহীত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। পরবর্তীতে আবেদনটি যাচাই শেষে যদি প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য সিলেক্ট হয় তাহলে অফিস থেকে যোগাযোগ করা হবে।
প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের জন্য নির্বাচিত আবেদনকারীদের এ সমস্ত তথ্যাদি দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
উপসংহার
সময়মতো আবেদন দাখিল করলে প্রি-পেইড মিটার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রজেক্টের জন্য নির্ধারিত পরিমান আবেদন সিলেক্ট হয়ে গেলে এই চলমান প্রজেক্টের আওতায় হয়তো প্রি-পেইড মিটার পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই দ্রুত আবেদন করে খরচ এবং জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারেন।